অনুশীলন

পারিবারিক কৃষি করি, পরিবেশ গড়ি জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ভূমিকা রাখি

জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ঝুঁকিতে আছে আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। এই চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা, ভাবনা ও আইডিয়া উপস্থাপনা করার এবং অনুশীলন বিভাগ এটি। এবং এই বিভাগে উপস্থাপিত ভাবনা, আইডিয়া থেকে শ্রেষ্ঠ ভাবনা, আইডিয়া নিয়ে বছর শেষে ‘অ্যাকশন টু ক্লাইমেট ফাংশন’ নামের সম্মেলন এবং সম্মানা জানানো হবে।
খাদ্য সংকট নিরসন আর সবুজায়ন- দুটিই এক সঙ্গে সম্ভব কৃষিতে। আবার, খাদ্য সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারা মানে, সুস্থ জাতি ও সামাজিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা । যা সুন্দর পরিবেশ গড়তে প্রত্যক্ষ অবদান রাখে। অন্যদিকে সবুজায়ন তো সরাসরি গ্রীন হাউস গ্যাস প্রশমনে ভূমিকা রাখে; যা জলবায়ু পরিবর্তন রোধে অপরিহার্য অবদান রাখে। তাহলে দেখা যায় কৃষিই একমাত্র বহুমাত্রিক ভাবে খাদ্য, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। সুতরাং, “চলো পারিবারিক কৃষি করি, পরিবেশ গড়ি, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ভ‚মিকা রাখি” একটি সামাজিক উদ্যোগ অনুশীলন পরিবার গ্রহণ করেছে। যার উদ্দেশ্য, ছাত্র-শিক্ষকসহ সকল প্রকার ব্যক্তি পর্যায়ে পারিবারিক কৃষি চালু করা। প্রত্যেকটি বাড়ির উঠান কিম্বা ছাঁদে লাউ, কুমড়া, পেঁপে এমন উদ্ভিদ জাতীয় গাছ বা ফসল চাষাবাদ করা। এমন প্রচেষ্টার সূচনা লগ্নে অনুশীলন পরিবারের পক্ষ থেকে ‘দিগদাইড় এম এইচ ইউনিহেল্প স্কুলে’ ৬০০ শিক্ষার্থীদের মাঝে চারা ও বীজ সরবরাহ করে ‘চলো পারিবারিক কৃষি করি, পরিবেশ গড়ি, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ভূমিকা রাখি’ উদ্যোগের যাত্রা শুরু করা হয়েছে। ফসল চক্র শেষে, প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার উৎপাদিত ফসল থেকে বীজ সংগ্রহ করে অনুশীলন পরিবারকে গ্রহীত বীজের দ্বিগুন বীজ ফেরত দিবে। যা পরবর্তী সময়ে অন্য দুই স্কুলে পৌঁছে দেওয়া হবে। এরূপভাবে এ প্রচেষ্টা দেশময় ছড়িয়ে দিতে চাই আমরা। এজন্য শিক্ষার্থীদের উৎপাদিত ফসলের বীজ অধিকহারে সংরক্ষণ ও প্রদানে উৎসাহিত করা হবে। যা থেকে একজন শিক্ষার্থী বছরের পর বছর নিজের পারিবারিক কৃষিকে এগিয়ে নিতে পারবে, আবার তাদের বীজ নিয়েই একই সময় অনুশীলন পরিবার ‘অনুশীলন বীজ ব্যাংক’ গড়ে তুলবে। সেখান থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষদের বীজ সরবরাহ করে পারিবারিক কৃষিকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এ উদ্যোগে অংশগ্রহণকারী স্কুল সমূহ উক্ত কার্যক্রম মনিটরিং করে ফসলের জীবনচক্র শেষে রিপোর্র্টিং করে আমাদের সহযোগিতা করবে। আর, অংশগ্রহণকারী বাচ্চারা চারা রোপন বা বীজ বোপন থেকে শুরু করে গোটা জীবনচক্র নিয়ে সৃজনশীল রচনা লিখবে। রচনায় সৃজনশীলতা ও নিজের হাতে ফলানো ফসলের গুনগত মানের উপর ভিত্তি করে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়কে পুরস্কার প্রদান করা হবে এবং প্রথম স্থান অর্জনকারীর লেখাটি অনুশীলনের পরের সংখ্যায় প্রকাশিত হবে। এর মাধ্যমে পরিবেশ ও জলবায়ুর সাথে জীবনের যে নিবির সম্পর্ক, সে চেতনার বীজ ছড়িয়ে দিতে, বোধের গভীরতা বাড়াতে এ উদ্যোগ। নিঃসন্দেহে এই প্রক্রিয়া জীবন দক্ষতা ও সৃজনশীলতা বিকাশেও ভূমিকা রাখবে। আগামী দিনে এ উদ্যোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে অনুশীলন বন্ধুদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

Exit mobile version